চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (চাকসু) টানা ৪৪ বছর পর নেতৃত্বে ফিরেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ সপ্তম চাকসু নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে চারটায় নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে জানায়, শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা ভিপি-জিএসসহ মোট ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছেন।
ভিপি (সহসভাপতি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিব। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট, আর ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।
চাকসুর ২৬টি পদের মধ্যে ছাত্রদল পেয়েছে মাত্র একটি পদ এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক)। এই পদে ছাত্রদলের প্রার্থীইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির–সমর্থিত সাজ্জাত হোছন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট। এ ছাড়া সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন তামান্না মাহবুব নামের এক ছাত্রী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল।
বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।